সন্দীপ রায়

সন্দীপ রায়

 ট্রমা

              ১

অথচ বার বার তার পারফিউম চিনে যাই

ড্রয়ারে রাখলে আবার বেরিয়ে আসে
পুরানো ক্ষতটা মলমের ঢেকুর তুলে
তবু সারতে চাইছে না,
কিন্তু স্বপ্নের ভিতর এফোঁড়ওফোঁড়
চলে যাচ্ছে চিরুনি।

       আমি চিরুনি তল্লাশির ৈসনিক
খুঁজছি    –   তোমায়
শিকড়ে
আরোগ্যের ডগায়
তুমি পাচ্ছি না
শুধু চেনা পারফিউম বাতাসে ঘুরছে

             ২

পড়ার টেবিলে বসানোর আরাধ্য পাচ্ছি না
লেখার অন্তিম চরণে ঈশ্বরের
অনুপ্রেরণা পাচ্ছি না

আসলে গাড়িটি  হুইসেল মেরে
ঢুকে  গেছে  যে  টানেলে
তার  কাছেই   হাটুজলে ভেঙেছে
দেবতার ছায়া।

সময় শুরু হয় নাকি শেষ
কোনো ধানসিঁড়ি  বলে নি

      ৩

ঘটনাটা চেতলার ও হতে পারে কিম্বা চিনা বাজারের
ফেরত চাইলে প্রতিশ্রুতিহীন লেভেল ক্রসিং!

দাঁত কিড়মিড় করে – ট্রেন চলে গেলে
সাইরেন শোনা যায়,
সবুজ পতাকা থাকে না প্রহরী বিহীন

অসহমতের সহবাসে যে যে শর্ত থাকে
তাতে চিল শকুন মরা মাংস খায়

                 ৪

সারমেয় কথা পার্লামেন্টে ঢেউ তাই
অথচ খিস্তিতে দাঁতে দাঁত ঘসা খেয়ে যায়

                   ৫

সারকামস টেন্সিয়াল  এভিডেন্সের উপর বিচার করলে
তোমাকেই খুনি বলে ভাবি।
ড্রয়ারে ভরা ঘাম আর হলুদ কাহিনী

এমনি তেই আততায়ী চন্দ্রালোক
জোছনা খেয়ে বৈরাগ্য এসেছে

ঠাকুর ঘরে কোন কলার গায়ে
তার নাম লেখা থাকে?

ফ্লেমিংঙো নয়  আর স্ট্রবেরীও
জাফরানি রঙ শুধু রক্তের চিকচিক

সেঁকা রুটির মতো সুষুম্না খেয়েছে সকলে
সারকামস টেন্সিয়াল এভিডেন্স
তোমাকেই ভাবিয়েছে খুনি!

                  ৬

দুঃসহ মেয়েটির গা থেকে উল্কা,  নক্ষত্র
ধুমকেতু উড়ছে।  মেয়েটি তার  স্বভাবসিদ্ধ
ভঙ্গিতে  মাছি তাড়াতেই ব্যস্ত।  দিনান্তে
তার গোনা হচ্ছেই না  এক্কাদোক্কা স্কোয়ার

বিগত কয়েকটি দুর্ঘটনাজনিত
ট্রমা গাছের কোটর থেকে ছিটকে গেলে
রাজপথ আর সওয়ারী
সমবেদনায়  উলটে দিচ্ছে থলি

অপারেশন থিয়েটার

এক প্রান্ত প্রদেশে সকলেই চলে যাচ্ছে
কখনো তর্জনী      কখনো মধ্যমা  দেখিয়ে
চলে  যাচ্ছে

আমি ছোক ছোক করছি  –  কিছু কি হয়েছে ?
কোথাও কি চুরি যাচ্ছে  কৌতূহল ?
আমি ঘোত ঘোত  করছি?
আমার নাক  কি শুকর শুকর?
শব্দ  তরঙ্গ এ পিষে যাচ্ছে নৈশব্দ
এবং এক শব্দের ভিতরেই আরেকটি জন্মাচ্ছে
আমি কবিদের দেখছি

      এক আশ্চর্য  আস্তরণ  বিছানো
আমি দেখছি বুদ্ধির পলতে
পাক    পাক    পাক

আমি পলতে তে আগুন ধরাতে পারছি না

সিঁড়ি দিয়ে উঠে আসতে গিয়ে দেখছি
আমি পিছিয়েই গেছি
অসহমত ব্যাপ্ত হচ্ছে
মিশে যেতে পারছি না আমি
অথচ।

দেখছি পায়ের ধাক্কায়  সিঁড়িটা  কেঁপে উঠছে বারবার

আক্রান্ত বরষা দিনেই কথাই শুধু লিখে যাই
আক্রান্ত কুয়াশা ভোরের কথাই শুধু লিখে যাই

লতলতে কাঁধ রেলগেট পেরোবে এখন
সোজা পথ ধরে সব হাঁটাতেই
বিভ্রমের আগাছা থাকে

আমার শরীর থেকে খুলে নাও সব নম্বর, অরণ্য, জনপদ

বিশ্রামের চৌকাঠ  ডিঙোতে দাও

কোন অবসাদ বিকালে ডুকে পড়েছি  ঘোড়া দোড়ের মাঠে
গোটানো আস্তিনে জকিদের খিস্তি গুজে রেখে
সবুজ ঘাসে ছুটে মরছে  পরকীয়া

ইশারায় ছড়িয়েছে  রিউমার  তরলের মতো
মেডিক্যালে চলছে এনাটমি

তর্কে জমজমাট সো থেকে ধ্রুপদ ছড়াচ্ছে

আপনার মন্তব্য এখানে রাখুন