রাহুল গাঙ্গুলি

রাহুল গাঙ্গুলি

ঈশ্বর-কণাগুলিকে খুনের পর

(প্রয়াত কবি দীপঙ্করদা স্মরণে।”দার্শনিক চলে যায় দর্শন অমর থাকে)
———————————————————–

ঠোঁটে ঠোঁট – নিওন জিকজ্যাকে সাবানের স্বাদ।
কষাটে এক অদ্ভুত রকমারি শখের খেলনা।
চাবুক চিরে বেরিয়ে আসার আগেই……….
মেলা-জৌলুসে পাপড় ও ঘুগনির রাই-কথার প্রেম।

আহা – বেড়ে আছি………..
শালপাতায় বন্ধ্যা কুমিরের – পাজড়া ভবিষৎবাণী।।

শুধু ঈশ্বর-কণাগুলোকে খুন হতে দেখার লোভ।।


নিকোটিনে………
প্রেম পুড়ছে।কাগজ পুড়ছে।জখম পুড়ছে।কিশোরী পুড়ছে…..
যদিও সেই নিষিদ্ধ কোলাহলে – পিছলাবার আগেই
……”ডার্কনেস বিহাইন্ড দ্য সিটি অফ সিন”…….
সামন্তরিক ত্বক চেটে এভাবেই এভারেস্ট কপালে চাঁদ ও চাঁদের পাপড়ি।।

মৃত্যুর পর ঈশ্বর-কণাগুলিকে ব্রহ্মযোনী দেখার চোখ……..এখনও অনিরাপদ।।


পার্লামেন্টারি রিলেশন –
কতো ওড়না বহুমুখের গড়ন নিল………
তাবৎ প্রতিবিম্বের মতো গোছান বিলাপ।

জুজু দেখলে নির্ঘাত স্বপ্নদোষ……….
নাহ শীত।নাহ পাউরুটি।নাহ পাঁইট।না কি দু-উরুর দোষ…………

এক্সপ্ল্যানেটরি নোটস্ ও খিদে।
রাতের মখমল জমা হতেহতে স্বাগত তোমায়!
আপোষেরও ঘাম হয় – পোষাকি নুনের স্বাদ।

এখানেই ঘাপটি মেরে লুকিয়ে ছিল ওরা..…


অবস্থানে স্পর্শতান্ত্রিক হোক স্নায়ু।
স্নায়ুবন্দী মুখে চূড়ান্ত গোলাপি দেওয়াল ও
তোমার সালোয়ারের রং।
ভাঙ্গছে বয়স ও আগামী বলিরেখার চূনকাম।
ভালোবেসেছি………..চুমুহীন আতঙ্ক…….?
অষ্টাদশী মাকড়শা শিখছে বোহেমিয়ানা ও
সঙ্গমাতীত সুখ………আড়াল সরে যাচ্ছে।
সদ্যোজাত ভ্রূন সন্দেহ।
পেরোচ্ছি চিকন্ রাজপথের পিচকারি!

কল্কেতে সাত সমুদ্র ও রাহুলের জন্ম
কিছু মরহুম বিষয়ক হলো…

 


রোদ বিষয়ক মঞ্চের পর ফাঁসির দড়ি সিলিকন জাতীয়।
বলতে পার সব কল্পনা – অধূনা শবযাত্রার ভয়…….
একটি দেশলাই পুড়ে গেলে – পোড়াটুকুরও হত্যা।
ঠিকানা লেখার আশ্রয় নেই।
ম্যাজিক চলছে ম্যাজিক – প্লাজমাবর্তী
নৌকো- শুদ্ধতায়…আত্মহননের ইস্তেহার।
তাও বা বলি কি করে?গাঢ় হচ্ছে ঘুম
জোনাকির কবর।কবরে কৃষ্ণ।কৃষ্ণে গহ্বর।।
ইদানীং বেনারসি পরলে – দরজার চৌকাঠ দেখি।

পরক সহজীয়া মরশুমি….

০ সরন ও তেজস্ক্রিয়তা
———————————————————-

ভুল করলে নীলতিমির পেট চেরা কোলাহল।
ফ্যাক্টর পালকের ভরবেগ হলে >>> ভর = ০।
অথচ।অনির্দিষ্ট সরন।মায়ার চিঠিতে আকাশ
লিখতে লিখতে রিফিলে ভরছি দিন।

 


১/২ ব্যাসার্ধের আকাশ যথেষ্ট।
যদি লেবুগাছে ভাতের ফলন – অসীম মান।
ফুটন্ত গরমজলেও লেবুর গন্ধ।গোডাউন
পচছে আকাশী উপবৃত্তিক কোলাজ।

 


বিয়োগ = বিচ্ছেদ নয় কখনোই।
দুটি সমকামণার ঋণাত্মক মিলও নিশ্চিত।
যেমন : ০//০ কর্ডিনেট থেকে পৃথিবীর বদল….
দিন ও রাত = যোগাযোগে মহাকার্ষিক অরবিট।
পাথুরে কণা গলে যাচ্ছে জলে= বিপরীত বিয়োগ।

 


ইথার ভাসানোর মেঘতান পাসওয়ার্ড।
আপেক্ষিকতার নৈতিক মাপ __ মন্দ হলেও
মাঝখান।মাঝামাঝি।মাঝবরাবর।
মহাশূন্যের আপেক্ষিক তাপ = ০ হলে
অবশ্যই জীবনের ধ্রুবক।অথচ খাতায় ০

 


অপরিচিত ও গোপন – সকলেই ভালবাসি।
অথচ স্থিতিস্থাপক বিভাজনে
একটি বৃত্তের ডাইমেনশন্ আলাদা।
বৃত্ত কি পাল্টায়?না আমরা।আমাদের নিষিদ্ধ।
কথায় কথায় তোমাকেও দেখি….
বাইনারী বৃত্তীয় গতিপথে…….
অসংখ মেঘলা ফুলে লালমাটির গুড়ো ঝরে।

 


আমাদের সম্পর্কে বিজোড় হয় না সংখ্যা।
এ কারণেই : আহত জাহাজে জল-আশ্রয়।
দেখছি শরীরহীনা আকৃতি ও
রোদ পোয়ানো বাতিল জেলিফিশ।
ক্রমশঃ মৈথুন পতন।ওঃফ মা গো
গর্ভকোষে আয়ন-ঘর খুজছি।বিজোড় জ্যামিতি।

 


ঝিঝিপোকার সাথে নাজুকীয় সন্ধিবিচ্ছেদ।
হাঙরের ঠোঁট
তাপমান ১র চেয়ে বেশীতে আমরা ভুলছি
আমাদের দুজনেরই অন্তর্বর্তী।
মুঠোয় তেজস্ক্রিয় হাঙর – পিছলে যাচ্ছে।
যেন সেই ০ / ১ = ত্রিমাত্রিক বেলুন।

 


মাইনে হয়নি।অথচ কোটি টাকার বিসর্জন।
মূরত্ ধাপ্পায় খিদে পায়।বিছানা নেই।
ব্যাঙ্ক জানাচ্ছে ই.এম.আই.।মাস// ১১৬৭০।
তবু আত্মনৈতিকতা।ধার করি প্রেম।
তরল ডুবুরি হলে – ডুবুরিকেও নুনজল……
রাহুল রাহুল রাহুল রাহুল
শিউলি ফুল জমাও।তোমার কোন = ০

 


ঝর্নায় মৃত টিউলিপ।ভেসে এলো
ঝিনুক কুড়ানো – কতটা পারদ-কিশোরী দক্ষতা?
এ বুকে ম্যাগমা স্ট্যাচু : যদিও তরল অহংকারী।
বুক থেকে বেরোক অভিকর্ষীয় শূন্যস্থান।
সুখের অসুখ ছিল।আসলে চূড়ান্ত লোভ ও ভয়।
আয়নায় সব ধ্রুবক্ আলসে ০ হোক।

 

১০
কাধে তুলে নি ব্যারিকেড।জৌলুস দিনযাপন।
মেঘ-তাপ-বর্ষাতি শেষে : রোদ পোয়াচ্ছে আলো।
এখনো অপেক্ষার চিঠি – ঠোঁটে সাফরান কাপ।
কয়েক মি.লি. চা : কয়েক লিটার।
অথচ দেখো – কতো কাছেই বসে আছি।।
স্থানচ্যুত সর্বনাশ – কতোটা নিঃসঙ্গ করে?
অ্যালজেবরায় ভ্যানিশিং ফ্যাক্টর = তুমি।

 

১১
আমাদের কোনো জেব্রা-ক্রসিং নেই।
মোরগ-ঝুঁটির ফুল।সেতুহীন মাঝেসাঝে বেশ।
কবিতায় শব্দহীন ___ কলমে কালিহীন
আঁচড় কেটে পেন্সিলের দেওয়াল।
হয়তো ১ম-ফাদার্স ক্লকের আত্মরমণ চূড়ান্ত।
চূড়ান্ত পর্দায় সৌর-ত্রিকোনমিতি।
পর্দা সরিয়ে পাখি-কিত্। ভেবে নাও……..
আমাদের কস্ থীটা = ০।বা সাইন থীটা = ০/১।।

 

১২
রিক্সাচালক = x ও সওয়ারি = y
কখনো (x + y) হোলস্কোয়ার = হাওড়া-ব্রিজ পেলে
সম্ভাব্যতার ইভ্ সূত্র।পুরুষনৈতিক অস্বীকার….
যোনীবাদে উঠে আসে তোমার সোনালি জড়ুল
আমার হাত-আবিস্কারে চাঁদের আংটি।।
কখন যেন জীবিত লিঙ্গটার দান……
এতোটা ভিখিরি?বিরাসৎ প্রশ্নমূলক
চালানি আপেলটা চুমুর তত্ত্বে আরো অসম্ভব হোক।

 

১৩
ছাইমুখোশ।তেজস্ক্রিয় আমন্ত্রণে নালিশ।
এখানে হয়তো ১ বা ০ : অপ্রয়োজনীয়।
মাথায় বালিশের ঘাম জমে।স্টেথোনিক সব…..
সবিই।দৈহিক প্রতিসরণে হিজল্ জোয়ার।
কেন যে নষ্টা হতে গেলে?রাতেরও স্বার্থ খোজো।
১ ও ০র।এছাড়া কোনো অবিকৃত্ বিশেষ নেই।

আপনার মন্তব্য এখানে রাখুন